• শিক্ষা
  • বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল - অবস্থান, বর্ননা, নিখোঁজ, মানচিত্র ও রহস্য।
durex-elevate-climax-delay-spray-pack-of-2-
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল - অবস্থান, বর্ননা, নিখোঁজ, মানচিত্র ও রহস্য।
article
24 দিন আগে
শিক্ষা

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল - অবস্থান, বর্ননা, নিখোঁজ, মানচিত্র ও রহস্য।

বারমুডা ট্রাঙ্গেল – কথাটি শুনলেই রহস্যে ঘেরা সামদ্রিক এলাকার কথা মনে ভেসে ওঠে। যেখানে একবার পৌঁছালে সেখান... আরও পড়ুন!

পড়ার সময়
Mins

মোট শব্দ
Words

দৃশ্য
26

মন্তব্য
0

প্রকাশের তারিখ
17 May 2025

বারমুডা ট্রাঙ্গেল – কথাটি শুনলেই রহস্যে ঘেরা সামদ্রিক এলাকার কথা মনে ভেসে ওঠে। যেখানে একবার পৌঁছালে সেখান থেকে ফিরে আসা এক প্রকার অসম্ভব। গত পঞ্চাশ বছরে প্রায় 3000 সামদ্রিক জাহাজ ও শতাধিক বিমান আটলান্টিক মহাসাগরের এই স্থানে রহস্য জনক ভাবে হারিয়ে গেছে। গত শতাব্দির সমুদ্রের ভয়ংকরতম স্থান গুলির মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ছিল বারমুডা ট্রাঙ্গেল৷

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অবস্থান

বারমুডা ট্রাঙ্গেল মুলত আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিন প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। Florida থেকে পূর্বে Puerto Rico এবং Puerto Rico থেকে উত্তরে Bermuda দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত একটি ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চল মুলত বারমুডা ট্রাঙ্গেলের ভৌগোলিক অবস্থান৷ 5,00000 s.q কিলোমিটারের বেশি এলাকা নিয়ে বিস্তৃত এই অঞ্চলটি।

Location of Bermuda Triangle

Location of Bermuda Triangle (Photo by dictionary.com)

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য উৎপত্তি

বারমুডা ট্রাঙ্গেল ভয়ংকর রহস্যের কাহিনী প্রায় পাঁচশত বছরের বেশি প্রাচীন। 1492 সালে যখন বিখ্যাত নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন ভারতবর্ষ আবিষ্কারের উদ্দ্যেশে সমুদ্রযাত্রা করেন তখন তার সমুদ্রযাত্রায় একজায়গায় তার কম্পাস দিক নির্নয় করতে ব্যর্থ হয়৷ তিনি তার জাহাজের লকবুকে তার এই সমুদ্র যাত্রা অভিজ্ঞতা লেখেন। তিনি তার লেখায় বর্ননা করেন যে সমুদ্রে যাত্রা কালে এক পর্যায়ে তার জাহাজের কম্পাস আজব আচরণ করতে শুরু করে৷ এবং এক রাত্রে তিনি লক্ষ্য করেন আকাশ থেকে একটি আগুনের পিন্ডো সমুদ্রে এসে পড়ছে৷ এছাড়াও কলম্বাস তার লকবুকে এক অদ্ভুত সমুদ্রের কথা উল্ল্যেখ করেন যেখানে এক প্রাকার পোকা তাদের জাহাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে শুরু করে। তার লেখায় আরো একটি বিশেষ বিষয় গুরুত্ব পায় তা হল, জাহাজের ক্রু মেম্বাররা একের পর এক অজানা ব্যাধিতে মারা যেতে শুরু করে।

 

কলম্বাসের সময়কার পর থেকে বারমুডা ট্রাঙ্গেল নিয়ে একের পর এক আজব তথ্য ও গল্পো শোনা যেতে শুরু করে। অনেকে বিভিন্ন প্রাকার নামে এই জায়গার নাম করণ করতে শুরু করে, তার মধ্যে উল্ল্যেযোগ্য হল – “Graveyard of the Atlantic”, “Sea Of Doom”, “Sargasso graveyard” প্রভৃতি। এইসব নাম গুলি আঠারো ও উনিশ শতকে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হত।

 

তবে “বারমূডা ট্রাঙ্গেল” নামটি প্রথম ব্যবহার 1964 সালে Argosy নামের এক প্রত্রিকায়। Vincent Hayes Gaddis নামে এক আমেরিকান লেখক যিনি "বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল" শব্দবন্ধটি প্রথম ব্যবহার করে ও পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন লেখেন।

 

শুধু এখানেই শেষ নয়, 1881 সালে Allen Austin নামের এক 210 ফুট লম্বা জাহাজ লন্ডন থেকে নিউইয়ার্কে যাচ্ছিল। যাত্রাপথে Allen Austin-এর জাহাজের ক্যাপ্টেন একটি এক অজ্ঞাত জাহাজ দেখতে পান। অজ্ঞাত পরিচয়ের জাহাজটি ছিল পুরো শুনশান। ততকালীন সময়ে অজ্ঞাত জাহাজ সমুদ্রে দেখলে সেই জাহাজের কাছাকাছি কেউ যেত না। কারণ অবশ্য দুটি, সেকালে জলদস্যুর ভয় ছিল প্রবল ও দ্বিতীয় কারন সংক্রমিত রোগের ভয়ে। সেজন্য Allen Austin জাহাজের ক্যাপ্টেন দুদিন ওই অজ্ঞাত জাহাজের কাছে অপেক্ষা করে এবং পরে ক্যাপ্টেন ওই জাহাজে ওঠেন। জাহাজে উঠে ক্যাপ্টেন দেখেন জাহাজের সমস্ত জিনিস ঠিকঠাক ছিল কিন্তু জাহাজে কোন যাত্রী ছিলনা। সেজন্য Allen Austin-এর জাহাজের ক্যাপ্টেন সিদ্ধান্ত নেন যে অজ্ঞাত জাহাজটিকে তাদের সাথে নিয়ে যাবেন। Allen Austin জাহাজের ক্যাপ্টেন তাদের জাহাজের কয়েকজন ক্রু মেম্বারকে পাঠিয়ে অজ্ঞাত জাহাজটিকে নিজেদের সাথে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু যাত্রাপথে উভয় জাহাজ দুটি প্রবল দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। অজ্ঞাত জাহাজটি Allen Austin জাহাজ থেকে আলাদা হয়ে যায়। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর Allen Austin জাহাজের ক্যাপ্টেন তার দূরবীন দিয়ে দূরে সেই অজ্ঞাত জাহাজকে ফের দেখতে পান। কিন্তু আবাক করার বিষয় হল, এবারেও ওই জাহাজের অন্যান্য সমস্ত জিনিস ঠিকঠাক থাকলেও কোন ক্রু মেম্বার ছিল না। এরপর আবারও Allen Austin জাহাজের ক্যাপ্টেন আরো কয়েক জন ক্রু মেম্বারকে ঔ জাহাজে পাঠিয়ে, দুটি জাহাজ রওনা দেয় কিন্তু দ্বিতীয় বারেও প্রথম ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটে৷  Allen Austin জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছালে ক্যাপ্টেন মুখে এই অলৌকিক ঘটনা শুনে জাহাজের মালিক জাহাটিকে বিক্রি করে দেন৷ পরবর্তীতে Allen Austin জাহাজের নতুন নাম হয় Meta।

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কবলে পড়ে চিরতরে হারিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-বাহিনীর বিমানও। সালটি ছিল 1945 সালের 5ই ডিসেম্বর, দুপুর 2 টোর সময় 5 টি মার্কিন নৌবাহিনীর টর্পেডো বোমারু বিমান (Flight 19) ফ্লোরিডা থেকে রওনা দেয়৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের-এর এটা কোন বিশেষ অপারেশন উড়ান ছিল না৷ নিত্যদিনের মত সেদিনও রুটিন মাফিক উড্ডনের অনুশীলনের জন্য রওনা দিয়েছিল Flight 19 বিমান। 3 ঘন্টার রুটিন বিমান মোহড়া ছিল এটা। বিমানে মোট 14 জন ক্রু-মেম্বার ও তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য Charles carroll taylor নামের একজন অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেনের ছিল। এই 5টি Flight 19 বিমান ফ্লোরিডা থেকে পূর্ব অভিমুখে উড্ডয়ন করে। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল কিন্তু বিমান অবতনের প্রায় ঘন্টা দুয়েক বাদে বিমানের কম্পাসের কার্যকালাপ বন্ধ হয়ে যায়৷ সেকারনে বিমানের অতিরিক্ত দ্বিতীয় কম্পাসের সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দ্বিতীয় কম্পাস কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কম্পাস ছাড়া দিক নির্নয়ের অন্য কোন অপশন না থাকায় বিমানের আরহীরা নিজেদের বর্তমান অবস্থান জানতে সম্পুর্নরূপে ব্যর্থ হয়৷ এমতাবস্থায় অন্য বিমান গুলির সাথে যোগাযোগ করেন ক্যাপ্টেন Charles carroll taylor।  কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে অন্য বিমান গুলির কম্পাসেও একই রকম যান্ত্রিক গোলযোগের সংবাদ পাওয়া যায়৷ 

 

এমত অবস্থায় Taylor তার রেডিও বার্তায় বলেন -

"Both my compasses are out and I am trying to find fort Lauderdale, Fl. I am over land but it is broken. I am sure I’am in the keya but I don’t know how get to Fort Lauderdale."

 

ক্রমে আবহাওয়ার অবনতি ঘটে এবং বিকাল 4.56 মিনিটের দিকে Charles carroll taylor-এর মনে হয় তারা দিক ভ্রষ্ট হয়ে পূর্ব দিকের পরিবর্তে পশ্চিম দিকে রওনা দিয়েছে। ক্যাপ্টেন Taylor মনে তাদের বর্তমান অবস্থান এখন Gulf of Mexico। এই কারনে তার মতে তাদের এখন পূর্বে বিমান চালনা করা উচিৎ। তবে তাদের মধ্যে অন্যান্য বিমানের ক্রমেম্বারদের মতে তাদের পূর্বে নয় বরং পশ্চিমদিকে যাওয়া উচিৎ। আবহাওয়ার ক্রম বর্ধমান অবনতি ও ক্রমে সন্ধ্যা নামার কারনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে শুরু করে। আনুমানিক 7.04 মিনিটের সময় সর্বশেষ রেডিও বার্তা পাওয়া যায়। বার্তাটি ছিল – “All planes close up tight.... We’ll have to ditch unless landfall... When the first plane drops below  10 gallons we all go down together. ”। এরপর থেকে 5 টি মার্কিন নৌবাহিনীর টর্পেডো বোমারু বিমান চিরকালের জন্য হারিয়ে যায়। আজও পর্যন্ত এই বিমানের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 

Flight 19-এর হারানো তদন্তের জন্য একটি রেসকিউ Mariner বিমান রওনা দেয় 13 জনের সদস্য নিয়ে। এই বিমানের মুল লক্ষ্য ছিল Flight 19 বিমানকে খোঁজা ও রহস্যের জট উদ্মোচন করা। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল এই রেসকিউ Mariner বিমানও রহস্য জনক ভাবে গায়েব হয়ে যায়। প্রথমে Flight 19 ও পরে Mariner বিমান গায়েব হওয়ার ঘটনা ততকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভাবিয়ে তোলে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এক বিশাল তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হয়। তখনকার সময় এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় তদন্ত প্রক্রিয়া। এত কিছুর পরেও কোন বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও কোন ক্রু মেম্বারের মৃতদেহ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। সবই যেন  ম্যাজিকের মত ভাবে গায়েব হয়ে গেছে। যেখানে এই দুই বিমান হারয়ে গেছে তার নাম আজকের দিনে বার্মুডা ট্রাইঙ্গেল নামে জানি।

 

Photo From History.com

শুধুমাত্র কয়েকটি ঘটনা নয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলকে কেন্দ্র করে অরো অনেক ঘটনা ঘটে। এমনই একটি উল্ল্যেখযোগ্য ঘটনা ঘটে 1918 সালে U. S. S. Cyclops নামে এক জাহাজের সাথে। এই জাহাজটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী সে সময়কার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ও গতিশীল জাহাজ। সেজন্যই আমেরিকা সরকারের কাছে U. S. S. Cyclops ছিল মূল্যবান একটি সম্পদ। কারন অবশ্য সে সময় বিশ্বজুড়ে বিশ্বযুদ্ধ চলার কারনে আমেরিকার সৈন্য ও প্রইয়োজনীয় সামগ্রী একজায়গা থেকে অন্যত্র পাঠাতে U. S. S. Cyclops ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপুর্ন।

 

4র্থ মার্চ 1918 সালে 306 জন যাত্রীসহ Baltimore থেকে Brazil-এর উদ্দ্যেশ্য রওনা দেয়। যাত্রীদের সাথে 11,000 টন ম্যাঙ্গানিজ ছিল ঐ জাহাজে। যাত্রাকালে আবহাওয়া ছিল দুর্যোগ মুক্ত। সেকারনে জাহাজ থেকে রেডিও বার্তা পাঠানো হয় - “Weather Fair All Well”। কিন্তু এটাই ছিল U. S. S. Cyclops থেকে পাওয়া শেষ বার্তা। এরপর থেকে এই জাহাজের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

Photo from Naval History and Heritage Command

উপরিউক্ত সমস্ত ঘটনাবলী প্রাচীন ও রুপকথার গল্পের মত যুক্তিহীন হওয়ার কারনে আধুনিক বিশ্বে অধিকাংশদের কাছে কাল্পনিক লোক কথার মতই শোনায়৷ তবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে দশকের পর দশক মতামাতি বিশেষ কম হয়না।

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের বিষয় নিয়ে সম্ভাব্য যুক্তি

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন মত রয়েছে। রহস্যময় এই সামুদ্রিক এলাকা নিয়ে তথ্য গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - 

প্রথম যুক্তি - অনেকে মনে করেন যে এই অঞ্চলে (বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল) ভিনগ্রহীদের গোপন আস্তানা আছে৷ বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সীমানায় পৌঁছানো জাহাজ ও বিমান গুলিকে তারা অপহরণ করে তাদের নিজেদের আস্তানায় নিয়ে যায়৷

দ্বিতীয় যুক্তি – অন্য একটি অলৌকিক যুক্তি দেখায় আরেক দল মানুষ। তাদের মতে এই অঞ্চলের সামদ্র জল তলের নীচে কোন সামদ্রিক অতিপ্রাকৃতিক প্রানী উপস্থিতি আছে। তাদের দাবি ওই অতিপ্রাকৃতিক প্রানী বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল অঞ্চলে আশেপাশে আগত জাহাজ ও আকাশ সীমার বিমান গুলিকে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়৷ 

তৃতীয় যুক্তি  - একদল মানুষ আবার বারমুডা ট্রাঙ্গেলে বিমান ও জাহাজের হারয়ে যাওয়াকে সামুদ্রিক দুর্যোগ বলে দাবি করেন। তাদের মতে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে সর্বাদা প্রবল ঘুর্নাবর্তে কারনে ওই অঞ্চল দিয়ে যাওয়া জাহাজের সলিল সমাধির মাধ্যমে জাহাজ গুলি চিরতরে হারিয়ে যায়৷ একই ভাবে আকাশসীমা দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান প্রবল ঘুর্নিঝড় ও বর্জ্রপাতের কারনে ভেঙে পড়ে ও সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায়৷ এছাড়াও আমরা জানি পৃথিবীর ঘূর্নিঝড়ের নিরিখে প্রথম চীন, দ্বিতীয় আমেরিকা ও তৃতীয় কিউবা৷ এখানে এই তত্তের সপক্ষে প্রমান হিসাবে দেখা গেছে, যে আমেরিকার ফ্লোরিডা উপকূলে ঘুর্নি ঝড়ের প্রকপ সবচেয়ে বেশী৷ যা কিনা বারমুডা ট্রাইঙ্গেলের নিকটে।

চতুর্থ যুক্তি - এই তথ্যটি পৃথিবীর চৌম্বকীয় তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই তত্তটি অনেকে কাছে অন্যান্য তত্তের তুলনায় বেশী গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে৷ আমরা অনেকে জানি যে পৃথিবীর প্রকৃত উত্তর মেরু ও চৌম্বকীয় উত্তর মেরুর তুলনামূলক পার্থক্য আছে৷ চৌম্বকীয় উত্তর মেরু হল কম্পাসের মাধ্যমে নির্নীয় যে উত্তর মেরু। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক স্থান আছে যেখানে পৃথিবীর প্রকৃত উত্তর মেরু ও চৌম্বকীয় উত্তর মেরু একই৷ এমন স্থান গুলোতে চৌম্বকীয় কম্পাস উত্তর দিক নির্ণয় করতে পারেনা। কম্পাসের চৌম্বকীয় কাঁটা আজব আচরণ করতে থাকে ফলে দিক নির্ণয়ে ভুল হয়৷ বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল পৃথিবীর এরুপ একটি এলাকার আওতায় পড়ে। সে কারনে প্রাচীনকালে জাহাজ ও বিমানের চালকরা সে যুগের কম্পাসে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে দিক নির্নয়ে ব্যর্থ হত ও দুর্ঘটনা কবলে পড়ত৷ 

Sargasso Sea

Magnetic North Pole and Geographic North Pole Sargasso Sea

 

পঞ্চম যুক্তি - এটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে সর্বাধুনিক তথ্যটি অর্ন্তগত। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে দেখা গেছে যে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল ও তার আসেপাশের অঞ্চলের সমুদ্র তুলনা মুলক অগভীর৷  এর ফলে ওই অঞ্চলে পৌঁছানো বড় বড় জাহাজ গুলি জালে উপস্থিত সামদ্রিক শ্যাওলা ও প্রবাল প্রাচীরে আঁটকে যায়৷ ফলসরুপ দিনের পর দিন আটকে থেকে অবশেষ খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবে জাহাজের যাত্রীদের মৃত্যু ঘটে৷ এই কথাই হয়ত কলম্বাস তার জাহাজের লকবুকে বর্নানা করতে চেয়েছিলেন৷

ষষ্ট যুক্তি - মিথেন হাইড্রেটকে জাহাজ গুলির সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাবার একটি যুক্তি হিসাবে বিজ্ঞানীরা দাবি করেন। এর সপক্ষে প্রমাণের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় একদল বিজ্ঞানী পরীক্ষা চালান। পরীক্ষায় দেখা যায় যে সমুদ্রে যে অঞ্চলের জলে মিথেনের বুদবুদ বেশি থাকে সেখানকার জলের ঘনত্ব অনেকাংশে কমে যায়। অনেকটা লবনাক্ত জলে যেমন জলের ঘনত্ব বেড়ে যায়, এটা ঠিক তার বিপরীত। সেকারনে ভারী ভারী জাহাজ সহজেই ও আকস্মিক ডুবে যায়।

সপ্তম যুক্তি - মনোবিজ্ঞানের যুক্তি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের খুবই গুরুত্ব ও তাৎপর্য পূর্ণ। এই তত্তকে Baader-Meinhof বা Frequency illusion বলে। এই ধরণের তত্ত অনুযায়ী আমরা যখন কোন বিষয় বা কোন স্থান নিয়ে ভাবি তখন ওই বিষয় আমারা বারবার চোখের সামনে ঘটতে দেখতে পাই। উদাহরণ সরূপ যখন আপনি কোন নতুন মডেলের মোবাইল ফোন কেনেন তার কয়েক দিন যাবদ আপনি যখন রাস্তাঘাটে কারো ফোন ব্যবহার করতে দেখেন তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের সাদৃশ্য মডেলের মোবাইল বার বার চোখে পড়ে। এই ধরণের বিভ্রমই হল Baader-Meinhof বা Frequency illusion।

 

ঠিক এমনটাই ঘটেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ক্ষেত্রে। একথা সত্য যে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে অনেকে বড় বড় জাহাজ ডুবি ঘটেছে। কিন্তু পৃথিবীতে এমনও অনেক স্থান আছে যেখানে জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। যার আসেপাশে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের নাম নিশানার লেশ মাত্র নেই। আসলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সমন্ধে যখন রহস্যময় গুজব রটেছে তখন মানুষ যেকোনো সামদ্রিক জাহাজ ও বিমান গায়েব হওয়ার ঘটনাকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সাথে যুক্ত করে ফেলেছ। এটা যুগের


Share this article :

durex-elevate-climax-delay-spray-pack-of-2-

স্পনসর বিজ্ঞাপন


সর্বাধিক জনপ্রিয়

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল - অবস্থান, বর্ননা, নিখোঁজ, মানচিত্র ও রহস্য।
বারমুডা...
  • 17 May 2025
  • 27
  • 0

নিউজলেটার


সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল - অবস্থান, বর্ননা, নিখোঁজ, মানচিত্র ও রহস্য।
বারমুডা...
  • 17 May 2025
  • 27
  • 0

আপনার মতামত

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কোন মন্তব্য নেই